অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম | Online Train Ticket Buy 2023-2024

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম অনেকেই নিজের গন্তব্যে পৌঁছানোর মাধ্যম হিসেবে ট্রেনে যাতায়াত করাকেই বেছে নেয়। ট্রেন একটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ বর্তমানে এটি যোগাযোগের অন্যতম একটি আরামদায়ক মাধ্যম। বাসে ঝাকুনি দুলনি এড়িয়ে ট্রেন হতে পারে দারুন একটি পন্থা। এটি তুলনামূলক অনেক নিরাপদ। ট্রেন যাতায়াতের জন্য সাশ্রয়ী ও আরামদায়ক বলে ট্রেনের টিকিটের চাহিদা প্রচুর।

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম

এ কারণে অনেক সময় ট্রেনের টিকিট পাওয়ার জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। যা যাত্রীদের জন্য অনেক হেনস্তার ব্যাপার। বাংলাদেশ সরকার যাত্রীদের এই সমস্যার সমাধানকল্পে ট্রেনের টিকিটের অনলাইন ব্যবস্থা চালু করেছে। এতে করে ঘরে বসে খুব সহজেই যাত্রীরা ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বুকিং করতে পারবেন। নাম্বার লাইন ঠেলে টিকিট কাটার ঝামেলার দিন শেষ।

সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকা বন্ধুরা যারা আপনাদের যাতায়াত পথের মাধ্যমে হিসেবে ট্রেনযাত্রাকে বেছে নেন তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।আজকের আর্টিকেলটিতে আলোচনা করা হবে ট্রেনের টিকিট সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য নিয়ে।

যারা ট্রেনের টিকিট কাটতে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে অস্বস্তির শিকার হন তারা অবশ্যই ঘরে বসে কিভাবে খুব সহজে ট্রেনের টিকিট কাটতে হয় সেই পদ্ধতির সম্পর্কে জানতে আজকের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বুকিং

ট্রেনের টিকিট বুকিং করতে স্টেশনে গিয়ে ভিড় ঠেলে বুকিং করার সময় এবং সুযোগ অনেকেরই হয় না অনেকে স্টেশনে গিয়েও টিকিট না পেয়ে ফেরত চলে আসে হয়তো কাউন্টারে টিকিট থাকে না নয়তো অনুকূল পরিস্থিতি থাকে না। তবে বাংলাদেশে অনেকদিন থেকেই অনলাইন ট্রেনের টিকিট কেনার ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এখন খুব সহজে ঘরে বসেই ট্রেনের টিকিট যাত্রীরা কিনতে পারছে। ঘরে বসে অনলাইনে কিভাবে ট্রেনের টিকিট কাটতে হয় সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো;

ধাপ-১: ওয়েবসাইট ওপেন

বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট অনলাইনে কাটার জন্য chorme অথবা google ব্রাউজার থেকে Bangladesh Railway E-Ticket Service এই ওয়েবসাইটটি ওপেন করতে হবে।

ধাপ-২: সাইন আপ

প্রথমে আপনাকে বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইটে আপনার মোবাইল নাম্বার ও ইমেইল দিয়ে বা সাইন আপ বা রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করার জন্য উপরের ডানপাশ থেকে Register বাটনে ক্লিক করতে হবে।

ধাপ-৩: ফরম পূরণ

রেজিস্ট্রেশন করার পর আপনার সামনে একটি ফরম আসবে। এই ফর্মে আপনি ইংরেজিতে আপনার নাম ইমেইল ফোন নম্বর ও ৮ অংকের একটি পাসওয়ার্ড বসাবেন। আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড(জাতীয় পরিচয় পত্র এর নম্বর) বা বার্থ রেজিস্ট্রেশন নাম্বার (জন্ম নিবন্ধন এর নম্বর) যেটি আপনি দিতে চান সেটি identification type অপশনে dropdown অপশন থেকে বাছাই করুন। এরপর জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর অথবা জন্ম নিবন্ধন এর নম্বর সেখানে লিখুন। এরপর পোস্ট কোড এবং নিচে ঠিকানা লিখুন।

উল্লেখ্য, সব তথ্য অবশ্যই ইংরেজিতে লিখতে হবে। ওয়েবসাইটের বাংলা ভার্সন এখনো প্রস্তুত হয়নি।

ধাপ-৪: মোবাইল ভেরিফাই করুন

এরপর আপনার মোবাইলে 6 ডিজিটে একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে এবং কোডটি দিয়ে ভেরিফাই করতে হবে। আপনার মোবাইলে আশা কোড টি ৪৫ সেকেন্ডের মধ্য সঠিকভাবে লিখে continue বাটনে ক্লিক করুন। এরপর আপনার একাউন্টটি প্রাথমিকভাবে চালু হয়ে যাবে।

ধাপ-৫: অ্যাকাউন্ট লগইন করুন

ভেরিফিকেশন শেষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার প্রোফাইলে লগইন হয়ে যাবে। login না হলে বা ভবিষ্যতে পুনরায় টিকিট ক্রয় করতে এই ওয়েবসাইটে ফিরে আসবেন এবং উপরে ডানপাশ থেকে Login মেনুতে ক্লিক করতে হবে। Registration এর সময় আপনি যে মোবাইল নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন সেই মোবাইল নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে এখানে লগইন করতে হবে।

আরো পরুন : সেলাই মেশিনের দাম কেমন; কোন সেলাই মেশিনের দাম কেমন ২০২৩-২০২৪

ধাপ-৬: ট্রেন সার্চ করুন

প্রোফাইল আপডেট করা শেষে ওয়েবসাইটের Home page গিয়ে আপনি কোন স্টেশন থেকে রওনা হবেন আর কোন স্টেশনে নামবেন সেই অনুসারে ট্রেন সার্চ করুন।

From অপশনে গিয়ে আপনি যে স্টেশন থেকে উঠবেন সেটি সিলেক্ট করবেন।

To অপশনে গিয়ে আপনি যে স্টেশনের নামবেন সেটি সিলেক্ট করবেন।

Date of journey অপশনটি থেকে আপনার ভ্রমণের তারিখ বাছাই করবেন।

Choose class-এখানে উপরের মতো অপশন গুলো পূরণ করে হলুদ রংয়ের ফাইন্ড বাটনে ক্লিক করবেন এরপর আপনার বাছাই করা তারিখের সকল ট্রেনগুলো এখানে show করবে।

এ ট্রেনগুলো থেকে ট্রেন ছাড়ার সময় অনুসারে আপনার পছন্দমত ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য সিলেক্ট করবেন।

ধাপ-৭: ট্রেন ও সিট বাছাই করুন

আপনার যাত্রা সময় ও আসনের ধরন অনুসারে পছন্দমত ট্রেন ও সিট বাছাই করতে হবে। সিট বছরের জন্য আপনার পছন্দের ট্রেনের আসন খালি থাকা সাপেক্ষ View Seats বাটনে ক্লিক করে সিট বুকিং করুন।Continue Purchase বাটনে ক্লিক করে পরের ধাপে যান।

ধাপ-৮: এই পর্যায়ে আপনি যদি এক বা একাধিক সিট বুকিং করে থাকেন তাহলে সেই সিটের যাত্রীদের নাম এবং শিশু কিংবা বয়স্ক কিনা তা সিলেক্ট করতে হবে। ৩ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশু যাত্রী হলে Passenger Type Child সিলেক্ট করবেন। এই অপশনটি সিলেক্ট করার মাধ্যমে যদি শিশু যাত্রী হয়ে থাকে তাহলে তার ভাড়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমন্বয় হবে বা কমে যাবে।

ধাপ-৯: টিকিটের মূল্য পরিশোধ

এই পর্যায়ে টিকিটের মোট ভাড়ার পরিমাণ ভ্যাট ব্যাংক চার্জ ও মোট খরচের পরিমাণ দেখানো হবে টিকিটের মূল্য পরিশোধ করার জন্য Mobile Banking (bkash) অথবা debit/credit card অপশন বাছাই করুন। এরপর Confirm Purchase বাটনে ক্লিক করে পেমেন্ট সম্পন্ন করুন।

ধাপ-১০: ট্রেনের টিকিট ডাউনলোড ও প্রিন্ট করুন

সফলভাবে পেমেন্ট করার সাথে সাথেই Bangladesh Railway E-Train Ticket System থেকে ই টিকিট ইস্যু করা হবে।টিকিটটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার ব্রাউজার থেকে ডাউনলোড করা হয়ে যাবে অটোমেটিক্যালি। আপনার প্রোফাইলে purchase historyথেকেও টিকিট ডাউনলোড করে নিতে পারেন তাছাড়া টিকিটের একটি কপি আপনার ইমেলেও পাঠানো হবে ইমেইলের inbox folder এ না পাওয়া গেলে spam folder চেক করতে পারেন। টিকিটটি A4 সাইজের কাগজে প্রিন্ট করে নিবেন।

ট্রেনের টিকিট চেক করার নিয়ম

যদি অনলাইনে নিজের প্রোফাইল থেকে টিকিট কেনেন তবে সেক্ষেত্রে চেক করার প্রয়োজন পড়ে না তবে অন্য কারো দ্বারা যদি ট্রেনে টিকিট ক্রয় করেন তবে ভ্রমণের আগে অবশ্যই টিকিটটি চেক করে নিবেন। ট্রেনের টিকিট চেক করার জন্য E-ticket ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করার প্রয়োজন হবে না। সরাসরি ভিজিট করেই চেক করে নিতে পারবেন।

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট চেক করার জন্য ভিজিট করবেন eticket.railway.gov.bd এই ওয়েবসাইটে এরপর উপরের ডান পাশ থেকে verify ticket মেনুতে ক্লিক করবেন। ট্রেনের টিকিট এ ব্যবহার করা মোবাইল নাম্বার এবং টিকিটের উপরের অংশে লেখা PNR Number টি লিখুন। verify ticket বাটনে ক্লিক করার পর টিকিট সঠিক থাকলে ticket verified এবং ভ্রমণের রুট দেখাবে।

ট্রেনে কেবিন ভাড়া করার নিয়ম

ট্রেনের কেবিন গুলোকে বোঝানো হয় AC-B দ্বারা।ট্রেনের কেবিন ভাড়া করতে হলে এসি কেবিন গুলোই ভাড়া করতে হবে প্রতিটি কেবিনে 6 জন যাত্রী বসতে পারবেন কেবিনগুলো খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন শীতা তাপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় খুবই আরামদায়ক। ট্রেনের কেবিন ভাড়া করতে হলে;

প্রথমে, সাধারণভাবে ট্রেনের টিকিট কাটার মতোই ওয়েবসাইট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, ওয়েবসাইট এর হোমপেজে ভ্রমণকারীর তথ্যাবলী পূরণের সময় class এর পরিবর্তে AC-B নির্ধারণ করে দিতে হবে।

তৃতীয়ত,এরপর বাকি প্রক্রিয়াগুলো সাধারণভাবে অনলাইনে টিকিট কাটার মতোই সম্পূর্ণ করতে হবে। অর্থাৎ যাত্রীর প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী দিয়ে ফর্ম করতে হবে এবং বিল পে করতে হবে।

ট্রেনের টিকিট ফেরত দেওয়ার নিয়ম

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটায় অনেকেই ট্রেনের টিকিট চার-পাঁচ দিন আগে কিনে রাখেন। কোন অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যার কারণে আপনার ভ্রমণটি বাতিল হয়ে যেতে পারে।

সে ক্ষেত্রে আপনার ট্রেনের টিকিটটি ফেরত দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। ট্রেনের টিকিট ফেরত দেওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশ রেলওয়ে স্টেশন কাউন্টারে যেতে হবে। ট্রেনের টিকিট ফেরত দেওয়ার জন্য কিছু শর্ত প্রযোজ্য।

১.যাত্রা শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে টিকিট ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে এসি ক্লাসের জন্য ৪০ টাকা প্রথম শ্রেণীর জন্য ৩০ টাকা এবং অন্য শ্রেণীর জন্য ২৫ টাকা পরিষেবা চার্জ সহ কাটা হবে।

২.৪৮ঘন্টার কম এবং ২৪ ঘন্টার বেশি হলে ভাড়ার ২৫% কাটা হবে।

৩. ২৪ ঘন্টার কম এবং ১২ ঘন্টার বেশি হলে ভাড়ার ৫০% কাটা হবে।

৪. ১২ ঘন্টার কম এবং ৬ ঘন্টার বেশি হলে ভাড়ার ৭৫% কাটা হবে।

৫. ৬ ঘন্টার কম সময়ের জন্য কোন ফেরত নেই।

৬. অনলাইন ক্রয়ের জন্য সার্ভিস চার্জ অ-ফেরত যোগ্য।

অফলাইনে টিকিট কাটার নিয়ম

ট্রেনের টিকিট অফলাইনে কাটার ক্ষেত্রে তেমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। তবে অফলাইনে টিকিট কাটার ক্ষেত্রে যাত্রীকে অবশ্যই রেলস্টেশনে গিয়ে টিকিট কাউন্টার থেকে সশরীরে টিকিট কাটতে হবে। তবে অফলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটা যেকোনো যাত্রীর জন্য কষ্টসাধ্য। কাউন্টারে গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ট্রেনের টিকিট কাটা একটি দুঃসহ ব্যাপার।

ট্রেনের টিকিট কেনার পূর্বশর্ত

নিরাপদে ট্রেনে ভ্রমণ করতে হলে শুধু ট্রেনের টিকিট কাটলেই চলবে না ট্রেনের ভ্রমণের শর্তাবলী গুলো জানতে হবে।সহমত পোষণ করবেন। এর মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য;

*ট্রেনের টিকিট কোন ভাবেই হস্তান্তরযোগ্য নয় অর্থাৎ আইনগত যারা টিকিট কাটবেন শুধুমাত্র তারাই ওই টিকিটের ভ্রমণ করতে পারবেন।

*অতিরিক্ত মালামাল বহন করলে তার জন্য মাশুল দিতে হবে এক্ষেত্রে তাপ অনুকূল শ্রেণীর যাত্রীরা সর্বোচ্চ ৫৬ কেজি, প্রথম শ্রেণীর যাত্রীরা সর্বোচ্চ ৩৭.৫ কেজি শোভন চেয়ার/শোভন শ্রেণীর যাত্রীরা সর্বোচ্চ ২৬ কেজি ও সুলভ শ্রেণীর যাত্রীরা সর্বোচ্চ ২৩ কেজি মাল বিনা মাশুলে করতে পারবেন।

*বগি অথবা সিট নম্বর যেকোনো মুহূর্তে পরিবর্তিত হতে পারে।

*বাংলাদেশ রেলওয়ে যে কোন মুহূর্তে যাত্রা বাতিল এর পূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার অধিকার রাখে।

*বিনা টিকিটে ভ্রমণ করলে বাংলাদেশ রেলওয়ে ওই অবৈধ যাত্রীকে বিচারের আওতায় আনার পূর্ণ অধিকার রাখে।

*(BD Train Ticket Online)রেলের টিকিট ইস্যু করার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে পোর্টাল কার্ড/ ওয়ালেট চার্জ তথ্যের জন্য বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়ে এর ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশ রেলওয়ে যাত্রীদের কোন সংবেদনশীল তথ্য যেমন কার্ড ওয়ালেট এর বিবরণ ওটিপি পিন কোড সংরক্ষণ করে না।

*যদি কোন কার্ড/ওয়ালেট চার্জ করা হয়  অথবা পেমেন্ট গেটওয়ে যথা সময় তথ্য ফেরত দিতে বাধ্য হয় তাহলে এটা সম্ভব যে যাত্রীদের কার্ড/ ওয়ালেটে কাঙ্ক্ষিত টিকিটের জন্য ইস্যু করা ছাড়াই চার্জ করা হবে। এক্ষেত্রে পেমেন্ট গেটওয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ৮ কার্য দিবসের মধ্য গ্রাহক বা যাত্রীদের দ্বারা ক্রয়-কিত অর্থ তাদের নিজ নিজ কার্ড বা ওয়ালেটের ফেরত দিবে।

*যদি এই ধরনের কোন ক্লাইন্ট বা যাত্রী ৮ কার্য দিবসের মধ্য অর্ধ ফেরত না পায় তাহলে ক্লায়েন্ট বা যাত্রীকে support@br.gov bd এ সমস্যাটির বিশদ ও বিবরণ সহ একটি অভিযোগ ইমেইলে পাঠাতে হবে। এই ধরনের একজন ক্লায়েন্ট বা যাত্রীকে ৭ কার্য দিবসের মধ্য উত্তর প্রদান করা হবে।

*অর্থ প্রদান পরিষেবা প্রদানকারীদের ওপর নির্ভরতার কারণে সমস্যাটি সমাধান করতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে।

*আশফল কেনাকাটা এবং কার্ড চার্জিং সংক্রান্ত সমস্যা গুলির ফেরতের জন্য ক্লায়েন্ট বা যাত্রীকে অবশ্যই পেমেন্ট পরিষেবা প্রদানকারী সাথে যোগাযোগ করতে হবে যার মাধ্যমে তিনি লেনদেন করেছেন।

*সফলভাবে কেনা টিকিট ফেরত এর জন্য ক্লায়েন্ট বা যাত্রীকে অবশ্যই তাদের নিজ নিজ স্টেশনে যেতে হবে এবং ফেরত কাউন্টারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

*এই টিকিট ও হস্তান্তর যোগ্য এবং অবরাদ্দ যোগ্য।

*তিন থেকে বারো বছর বয়সী শিশুদের জন্য ছোট টিকিট কেনা বাধ্যতামূলক।

*যেসব যাত্রী লাগে যে ওজন সীমার মধ্য ভ্রমণ করেন তাদের জন্য কোন অতিরিক্ত ফী নেই।

পূর্বে টিকিট কাউন্টারে গিয়ে যাত্রীদের অনেক কাঠ খর পুড়িয়ে টিকিট কাটতে হতো। তাই যাত্রীদের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ সরকার এর সিদ্ধান্ত অনুসারে বাংলাদেশ রেলওয়ে  তাদের অনলাইন সার্ভিস চালু করেছে। এর মাধ্যমে যাত্রীরা খুব সহজেই অল্প সময়ের মধ্যে তাদের টিকিট বুকিং কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারছেন।

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম

প্রশ্ন: অনলাইনে কতদিন আগে ট্রেনের টিকিট কাটা যায়?

উত্তর: অনলাইনে চারদিন আগে থেকে ট্রেনের টিকিট কাটা যায়।

প্রশ্ন:অনলাইনে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন ছাড়া ট্রেনের টিকিট কাটা সম্ভব কিনা?

উত্তর:না অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কেনার জন্য আপনার মোবাইল নাম্বার ইমেইল ও ন্যাশনাল আইডি কার্ডের নম্বর দিয়ে অথবা জন্ম সনদের নম্বর দিয়ে ই টিকিট সিস্টেমে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন করতে হবে।

প্রশ্ন: অনলাইনে টিকিট কাটার জন্য ব্যবহৃত ওয়েবসাইট কোনটি?

উত্তর: বর্তমানে অনলাইনে টিকিট কেনার একমাত্র ওয়েবসাইট হচ্ছে eticket.railway.gov.bd

You May Also Like

About the Author: Sazzamul Ahmed